বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জন্য টানা ২ মাস বন্ধ ছিল যাত্রিবাহী বিমান পরিবহণ। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাজ্যের ঘরোয়া বিমান চলাচল শুরু হয়ে গেল। দমদম বিমান বন্দর সূত্রে খবর, এদিন কলকাতা এবং বাগডোগরা বিমান বন্দরে ওঠানামা করেছে মোট ১১ জোড়া অন্তর্দেশীয় বিমান।
তবে ভারতে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা চালু হয়ে যায় চারদিন আগেই। বাদ ছিল অন্য কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবাংলাও। এরই মধ্যে ঘরোয়া বিমান চলাচল শুরু হতেই বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিন রাত পর্যন্ত ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরই শতাধিক বিমানযাত্রী ও বিমানকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সেই কারণে রাজ্যে ঘরোয়া বিমান চলাচল শুরু হতেই সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সেইজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই এদিন সকাল থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে যায় এই বিমান পরিষেবা। নির্দেশিকা মেনে করোনা রোধে বিমান বন্দরে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। লাউঞ্জে ঢোকার মুখেই বিমানবন্দরের কর্মীরা সমস্ত যাত্রীর মালপত্রে স্যানিটাইজার স্প্রে করে দেন। তার পর এদি সকালে দিল্লি থেকে এয়ার এশিয়ার বিমানে কলকাতায় আসেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
বিমান বন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে আটকে যান ওই বিমানে আসা এক যাত্রী। তাঁর দেহের তাপমাত্রা বেশি ধরা পড়ে সেখানে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে রাজারহাটের হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাঁর দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে বিমানের সমস্ত যাত্রী এবং ওই যাত্রীর সংস্পর্শে আসা বিমান বন্দরের কর্মীদেরও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। অধীর চৌধুরী ছাড়াও এদিন দিল্লি থেকে বাগডোগরায় ফেরেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত। লকডাউনের জন্য তিনি দিল্লিতে আটকে পড়েছিলেন। এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে ৬টি বিমান ওঠা–নামা করে।